আমি চাই, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষ বদলাক”— তরুণ উদ্যোক্তা ‘মেহেদী হাসানের’ অনুপ্রেরণার গল্প


বাংলার বানী প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ /
আমি চাই, আমার কাজের মাধ্যমে মানুষ বদলাক”— তরুণ উদ্যোক্তা ‘মেহেদী হাসানের’ অনুপ্রেরণার গল্প

“ব্যবসা আমার জীবিকার পথ, কিন্তু সেবা আমার জীবনের মানে।”— মেহেদী হাসান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মেডিলাইন ফার্মা লিমিটেড।

জীবনের লক্ষ্য যদি হয় মানুষের কল্যাণ, তবে সাফল্য একদিন না একদিন আসবেই — এই বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন চঞ্চল, কৌতূহলী ও পরিশ্রমী। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট হলেও চিন্তা, উদ্যম ও কাজের পরিধিতে তিনি অনেক বড়।

ফার্মেসি বিষয়ে পড়াশোনা শেষে কর্মজীবন শুরু করেন দেশের স্বনামধন্য ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠান লাজ ফার্মা লিমিটেডে। নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততার কারণে দ্রুতই তিনি প্রতিষ্ঠানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (Assistant General Manager) পদে উন্নীত হন। ২০২০ সালে তিনি সেখান থেকে সুনামের সঙ্গে অবসর গ্রহণ করেন।

কিন্তু অবসরের পরও থেমে থাকেননি। বরং নিজের স্বপ্নকে রূপ দিয়েছেন বাস্তবে। দেশের কঠিন সময় — করোনা মহামারীর মধ্যেই, তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত মডেল ফার্মেসি “মেডিলাইন ফার্মা লিমিটেড”।

বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাফল্যের সঙ্গে।

মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মেডিলাইন ফার্মা লিমিটেড হয়ে উঠেছে একটি অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে কর্মরত ১৮ জন কর্মীর জন্য তিনি শুধু বেতনই নয়, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছেন — যা একজন মানবিক নেতৃত্বের উদাহরণ।

মেহেদী হাসানের কাজের সীমা অফিস বা ব্যবসায় সীমাবদ্ধ নয়। নিজের এলাকাকে ভালোবেসে তিনি যুক্ত হয়েছেন নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে।স্থানীয় গোপালপুর সমিতি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি নিয়মিত সম্পৃক্ত।তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে তিনি নিজ উদ্যোগে বল, বেট, নেটসহ খেলার সরঞ্জাম প্রদান করেন থাকেন ।অসহায়, দরিদ্র ও অসুস্থ মানুষের পাশে তিনি নীরবে দাঁড়ান।নিজের এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় অনুপ্রেরণা দেন, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা করেন।

তার দৃঢ় বিশ্বাস —

“যে সমাজ আমাকে বড় করেছে, সেই সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করাই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন।”

একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে ছোটবেলা থেকেই তিনি শিখেছেন শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও মানবসেবার শিক্ষা।সেই শিক্ষাই আজ তার জীবনের চালিকা শক্তি।তার লক্ষ্য একটাই — ব্যবসার মাধ্যমে মানুষ ও সমাজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।

তিনি বিশ্বাস করেন,

“সফল মানুষ শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশের মানুষকেও সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যায়।”

আজ তার নেতৃত্বে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি পুরো সম্প্রদায় বদলে যাচ্ছে।