ময়মনসিংহের সাইবার স্পেশালিস্ট ও আইটি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন: দেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা


বাংলার বানী প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ /
ময়মনসিংহের সাইবার স্পেশালিস্ট ও আইটি উদ্যোক্তা রুহুল আমিন: দেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা

বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি নির্ভর সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা এখন সময়ের অপরিহার্য অংশ। এই ক্ষেত্রেই ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার তরুণ প্রতিভা রুহুল আমিন অর্জন করেছেন অনন্য সাফল্য ও স্বীকৃতি। তিনি দেশের অন্যতম উদীয়মান সাইবার স্পেশালিস্ট ও আইটি উদ্যোক্তা, যিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিমুখী করে তুলতে।

রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাইবার সিকিউরিটি, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট প্রটেকশন, ওয়েব সিকিউরিটি, ফেসবুক পেজ ও প্রোফাইল রিকভারিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে। তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে ইতিমধ্যে অসংখ্য ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন অনলাইন ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেয়েছে।

তিনি জানান, “বর্তমানে অনেক মানুষই অনলাইনে প্রতারণা ও হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। আমি চাই মানুষ যেন নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, তাই তাদের সচেতন করতে কাজ করছি।”

রুহুল আমিন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা, অনলাইন সুরক্ষা, এবং ডেটা প্রাইভেসি সম্পর্কিত শিক্ষামূলক পোস্ট, ভিডিও এবং সচেতনতামূলক কনটেন্ট তৈরি করে আসছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে সোশ্যাল মিডিয়া সিকিউরিটি ও ডিজিটাল আইডেন্টিটি সুরক্ষার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন তিনি।

বহুমুখী দক্ষতায় অনন্য

সাইবার সিকিউরিটির পাশাপাশি রুহুল আমিন একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার ও ওয়েব ডেভেলপার। তিনি পেশাদারভাবে ওয়েব ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, ও ডিজিটাল মার্কেটিং প্রজেক্টে কাজ করেন। তার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

তিনি আরও বলেন, “আমি চাই তরুণরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট না করে, বরং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের ভবিষ্যৎ তৈরি করুক। আমাদের দেশে মেধাবী তরুণদের অভাব নেই — শুধু দিকনির্দেশনা আর সঠিক সুযোগ প্রয়োজন।”

সমাজে ইতিবাচক প্রভাব

রুহুল আমিনের উদ্যোগে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা পেয়েছেন। হ্যাকড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ব্যবসায়িক পেজ বা ওয়েবসাইট রিকভারিতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি প্রতিনিয়ত মানুষের ডিজিটাল সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন দ্রুততম সময়ে।

তার পরিশ্রম ও মানবিক মনোভাবের কারণে তিনি শুধু একজন আইটি এক্সপার্ট নন, বরং একজন ডিজিটাল হিরো হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন স্থানীয় তরুণদের মাঝে।

সরকারের দৃষ্টি ও প্রণোদনা কামনা

রুহুল আমিন বিশ্বাস করেন, সরকারের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা পেলে বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বমানের সাইবার বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সাইবার স্পেশালিস্টরা যদি আরও সুযোগ ও সমর্থন পায়, তাহলে আমাদের দেশ বৈশ্বিক আইটি বাজারে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।”

বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পে সাইবার সাপোর্ট প্রদান করছেন এবং তরুণদের প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রমেও সম্পৃক্ত আছেন। তার লক্ষ্য — একটি সুরক্ষিত, সচেতন ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

শেষ কথা

দেশের সাইবার নিরাপত্তা রক্ষায় তরুণ এই উদ্যোক্তার ভূমিকা ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্থানীয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে তার উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। রুহুল আমিনের স্বপ্ন — বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন ডিজিটাল সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হয় এবং নিজের অনলাইন জীবন নিরাপদ রাখতে পারে।